জান্নাতের শান্তি জাহান্নামের শাস্তির বর্ণনা
জান্নাত লাভ করার উপায় জান্নাতের কয়টি দরজা এবং কি কি নাম জান্নাতের পরম শান্তি আমাদের জান্নাতের ভিতরে সবচেয়ে বড় নেয়ামত কি এবং জাহান্নামের সাপ বিচ্ছু জাহান্নামে সর্বনিম্ন শাস্তি জাহান্নামের মুনাফিক ব্যক্তির আজাবে চিৎকার এবং তার ভয়াবহতা উল্লেখ্য?
জান্নাতের নেয়ামত ও তার লাভের উপায়।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে দুনিয়া হল ক্ষণস্থায়ী এবং জান্নাত হল চিরস্থায়ী জায়গা যেখানে আরাম আয়েশ সুখ শান্তি চিত্র বিনোদন ও আনন্দ সুখ শান্তি এবং জান্নাতে যা আহব্বান করা হবে তা সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে আসা হবে স্বামীর জন্য থাকবে হুর এবং স্ত্রীদের জন্য থাকবে স্বামী জান্নাতি পুরুষ এবং মহিলা সবাই হবে রূপবতী গুণবতী এবং তারা সেখানে সুখী সুন্দর দাম্পত্য জীবন পরিধান করবে সেখানে কোন পেশাব পায়খানা করতে হয় না। সেখানে শুধু আরাম আয়েশ কোরে কাটানোর জাইগা।
এক কথায় বলতে পারি জান্নাত হল একটা চরম শান্তির জায়গা সে জায়গায় সব শান্তি পাওয়া যায় জান্নাতে যে সুখ শান্তি নেক্কার বান্দা পেয়ে থাকে দুনিয়ায় আমরা যে সুখ পেয়ে থাকি জান্নাতের সুখের কাছে দুনিয়ার সুখ কিছুই না ।আল্লাহকে রাজি খুশি করতে পারলে তার জন্য পরকালে সুখ আর সুখ তার সুখের কোন অভাব থাকবেনা।
"জান্নাতের কয়টি দরজা দরজার নাম।
আমরা কুরআন হাদিস থেকে উল্লেখিত পেয়েছি যে আল্লাহ তায়ালার জান্নাত হলো আটটি ।
জান্নাতের আটটি দরজার নাম উল্লেখ করা হলো
১/জান্নাতুল মাওয়া
২/দারুল মাকাম
৩/দারুলসালাম
৪/ দারুল খুলদ
৫/জান্নাতুল আদান
৬/ জান্নাতুল নাঈম
৮/জান্নাতুল ফেরদৌস।
আমাদের প্রত্যেকটি মুসলমান মুমিন কাঙ্খিত গন্তব্য হল জান্নাত. আল্লাহ তাআলা তার ঈমানদার বান্দার জন্য জান্নাত ঘোষণা করে দিয়েছেন এবং জান্নাত রয়েছে কয়েকটি দরজা মুমিনের আমলের উপর নির্ভরশীল আমরা যে যেরকম আমল নিয়ে যেতে পারবো আমাদের সেই সেই দরজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে পবিত্র কুরআনে আরো বিভিন্নভাবে আয়াত দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে জান্নাতের বহু দর। এবং রাসুল সঃ এর হাদিসের মাধ্যমে বোঝা যায় যে জান্নাতের দরজা অনেকগুলো আছে এবং তা হাদিসে সংখ্যা বলে দেওয়া হয়েছে
অতএব যারা নেক আমলকারী নামাজ আদায়কারী তাকে নামাজের দরজা থেকে দেখা হবে যারা রোজাদার তাদের রোজাদার দরজা থেকে আহ্বান করা হবে এবং যে ব্যক্তি গান দান সাদগায় লিপ্ত থাকবে তার জন্য আলাদা ভাবে একটি রাখা হবে।আমরা ইতিমধ্যেই বুঝে গেছি আমার যে আমল করে যাব আমাদের সেই আমল অনুযায়ী সে দরজায় দেখা হবে এবং আমাদের সেই দরজার চাবি দেওয়া হবে।
জান্নাতের পরম শান্তি
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে বলেছেন জান্নাত এটি এমন জায়গা একটা নেক বান্দা কে সর্বনিম্ন একটি জান্নাত দেওয়া হয় বা তাকে রাখা হয় সে ভাববে তাকে সর্বোচ্চ জান্নাতে রাখা হয়েছে জান্নাত একটি এমন সুন্দর জায়গা যা রাজপ্রাসাদের মত এবং খাবার পোশাক তাদের সাথে হুর আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে পরিপাক ভাবে দিয়ে রাখবে।
এমন সুন্দর করে জান্নাত তৈরি করেছে তা তুলনাহীন এই দুনিয়ায় যে আমরা আরাম আয়েশ করি পরকালের আরাম আয়েশ আসমান জমিন পার্থক্য জান্নাতের ভিতরে এতটা শান্তি একটা বান্দা অনুভব না করা পর্যন্ত সে আগে চিন্তা করতে পারত না যে আমি এতটা সুন্দর সুশৃংখল আরাম আইএস জায়গায় থাকতে পারতাম এবং আল্লাহ তাআলা শুধু নেককার বান্দার জন্যই এই জান্নাতটি তৈরি করে রেখেছেন।
জান্নাতে সবচেয়ে বড় নেয়ামত কি হবে?
জান্নাতে সবচেয়ে বড় নেয়ামত কুরআনে কারিমে বর্ণিত জান্নাতের বিশেষ্য গুলো হচ্ছে এর নেয়ামত যেমন পোশাক, পরিচ্ছন্ন সঙ্গী সাথী খাবার সুশীতল ছায়া এবং রাজপ্রাসাদ বাগান ঝর্ণা তাদের ইচ্ছামত দেওয়া হবে। এবং তাকে রাজপ্রাসাদের মত জায়গায় রাখা হবে তার সাথে হুর রাখা হবে। জান্নাতের সবচেয়ে বড় নিয়ামত হলো আরাম আয়েশ থাকা খাওয়া এর কোনো কমতি থাকবে না জান্নাতি ব্যক্তির জন্য জান্নাতের সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি থাকবে।
আল্লাহতালা কুরআনে বলেছেন জান্নাতের সবচেয়ে বড় নেয়ামত হল আল্লাহর সন্তুষ্টি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করলে তাদের স্থান হবে জান্নাত এবং আল্লাহর ঘরে যা যা পাবে জান্নাতের বাগান আমরা জান্নাতে যে ফল দেখে থাকবো সে ফল দুনিয়ার মতই দেখতে কিন্তু তার স্বাদ হবে অনেক গুণ বেশি সেই ফল খাওয়ার সাথে সাথে তাদের মন প্রাণ ভরে যাবে এবং তার সাথে সাথে তাদের সঙ্গে নিয়ে এবং
জাহান্নামের সাপ ও বিচ্ছু্
আল্লাহতালা হাদিসে বলেছেন যাদের নেকীর পাল্লা হালকা হবে এবং গুনার পাল্লা ভারী হবে তাদের কবরে আজাব দেওয়া হবে এবং তাকে সাপ দ্বারা কামরাতে থাকবে এবং যে সাপগুলো থাকবে সেগুলো এমন বিষাক্ত ভয়ঙ্কর যে যদি একবার কাউকে দংশন করে তাহলে 40 বছর পর্যন্ত বিষের ক্রিয়া থাকবে আর জাহান্নামের খচ্চরের ন্যায়ের কিছু আছে যার দর্শনে ও ৪০ বছরেরজ্বালা অনুভব করতে থাকবে
এবং তাদের মধ্যে অনেকগুলো সাপ আসবে যেমন অন্ধ সাপ বয়রা সাপ তারা ছোবলের উপরে ছোবল মারতে থাকবে তাদের একটা ছোবল এ মোনাফিক কে চল্লিশ পঞ্চাশ হাত মাটির নিচে পাঠানো হবে আবার সেই মুনাফিক ফেরত আসবে আবার তাকে ছোবল মারা হবে আবার আসবে আবার মারা হবে এভাবে কেয়ামত পর্যন্ত তার আজাব চলতে থাকবে আল্লাহ তা'আলা বলেন এ তো সব নিদর্শন সত্ত্বেও যারা তাদের স্রষ্টাকে অস্বীকার করেছেন ভুলে গেছেন তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের কঠিন ত ম জাহান্নাম যে কতটা ভয়াবহ নিকৃষ্টতম স্থান তা তাদের অনুভব করা হবে এবং তারা বিশ্বাস করতে থাকবে এবং তারা সর্বক্ষণ মৃত্যুর আহবান করতে থাকবে
জাহান্নামের সর্বনিম্ন শাস্তি কি
নোমান ইবনে বশির তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ কে বলতে শুনেছি শাস্তি হবে তা দুই পায়ের তালুর নিচে অঙ্গার আগুনের নিচে রাখা হবে এবং তাতে মস্তিষ্ক সিদ্ধ হতে থাকবে সে মনে করবে তার চেয়ে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি আর কেউ হয়নি অথচ সেই জাহান্নামিদের মধ্যে সর্বনিম্ন শাস্তি দেওয়া হয়েছে তার মনে হবে না। সে মনে করবে যে তাকে সবচেয়ে বেশি বা বড় শাস্তি তাকে দেওয়া হচ্ছে। যখন অঙ্গার আগুনে তার দুই ত তালুর নিচে রাখা হবে তখন সে অনেক চিৎকার করতে থাকবে এবং সে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে। কিন্তু সেখানে তার আজাব চলতে থাকবে এবং কেয়ামত পর্যন্ত তার আজাব দিতে থাকা হবে।
জাহান্নামের চিৎকার
আমরা সবাই জানি যে পুলসিরাতের পরে যার গুনার বোঝা ভারী হবে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে তখন তাদের আফসোসের সীমা থাকবে না আল্লাহ তায়ালা তাদের কথাগুলো তুলে ধরেছেন শাস্তির ভয়াবহতা বুঝানোর জন্য এবং তারা আফসোস করতে থাকবে যে আমরা যদি আবারো দুনিয়ায় যেতে পারতাম তাহলে আমরা সার্বক্ষণ আল্লাহর এবাদত করতাম তাদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে তারা চিৎকার এর উপরে চিৎকার করতে থাকবে কিন্তু তাদের কোন কথা শোনা হবে না।
এবং তারা ভাববে আমরা যদি নেক্কার বান্দা হয়ে আসতাম ঈমানদার লোকদের মধ্যে সামিল হতে পারতাম ।এ বলে তারা আফসোস করতে থাকবে কিন্তু তাদের রক্ষা নাই তাদের আযাবের উপরে আযাব হতে থাকবে এবং তারা জাহান্নামের ভিতরে চিৎকার করতে থাকবে তার চিৎকার শোনার মত কেউ থাকবে না এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url